দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১ ফেব্রুয়ারি: ব্যালট বাক্সে ভোটের পক্ষে প্রায়ই সওয়াল করতে শোনা গেছে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-কে। এবার, সেই ‘ব্যালট বাক্স’-কেই বেছে নিতে দেখা গেল মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপি নেতৃত্বকে। তবে, তা প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য! আর, আদতে এটি একটি ড্রপ বাক্স মাত্র। যদিও, এর কাজ অনেকটা ব্যালট বাক্সের মতোই! নাগরিকরা গোপনে তাঁদের মনের মতো প্রার্থী বেছে নেন ব্যালট বক্সের মাধ্যমে। শুধু প্রার্থী নয়, বেছে নেন পছন্দের দলটিকেও। আর, পুরোটাই হয় গোপনে! আর, বিজেপির এই ড্রপ বক্স এর মাধ্যমে নাগরিকরা নিজেদের মনের সুপ্ত ইচ্ছাই পূরণ করবেন। তবে, এবার আর প্রার্থী পছন্দের জন্য নয়, নিজেকেই প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরার জন্য। বলার অবকাশ নেই, এক্ষেত্রে পছন্দের দলটি যদি হয় বিজেপি, তবেই মেদিনীপুরের সাধারণ নাগরিকরা এই সুযোগ পাবেন! স্বাভাবিকভাবেই, বিজেপির এই ড্রপবক্সের মাধ্যমে প্রার্থী বেছে নেওয়াকে, কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা। তবে, বিজেপিও পাল্টা যুক্তি খাড়া করে উত্তর দিয়েছে।

thebengalpost.net
বিজেপির ড্রপ বক্স :

প্রসঙ্গত, এর আগে বিধানসভা নির্বাচনের সময়ও প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য, বিজেপির রাজ্য সদরদপ্তরে বসানো হয়েছিল ড্রপ বক্স। এবার, সেই একই পদ্ধতিতে, রাজ্য বিজেপির নির্দেশেই ড্রপবক্স বসানো হলো জেলা সদর দপ্তরে। বিরোধীরা যতই কটাক্ষ করুক, জেলা বিজেপির যুক্তি, সর্বস্তরের মানুষকে সুযোগ দেওয়ার জন্যই এই ড্রপ বক্স বসানো হয়েছে। এ নিয়ে জেলা সহ সভাপতি অরূপ দাস জানিয়েছেন, “অনেক সুধী নাগরিকবৃন্দ থাকেন, যাদের মনে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছে আছে, কিন্তু প্রকাশ্যে তা বলতে পারেন না! এই সমস্ত লোকজনকে সমাজের প্রয়োজনে বিজেপি সুযোগ দিতে চায়। তাছাড়াও, এই দলে সবকিছুই গণতান্ত্রিক রীতি পদ্ধতি মেনে চলে। ‌ এখানে তৃণমূলের মতো লবিবাজি বা দুর্নীতি চলে না!” যদিও, বিজেপির এই যুক্তিকে উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা জানিয়েছেন, “আসলে বিধানসভা নির্বাচনের পর, ‌ বিজেপির অনেক নেতাকর্মীই টাকার বিনিময় প্রার্থী হওয়ার দুর্নীতি ফাঁস করে দিয়েছিলেন! এক সাংসদও তা বলছেন প্রকাশ্যে। তাই, বিজেপিতে ড্রপবক্স বসাতে হচ্ছে। আর, দ্বিতীয়ত ওরা প্রার্থী পাবে কোথায়? পার্টি অফিসগুলিতেই কর্মী নেই। প্রার্থী পাচ্ছে না বলেও, বাধ্য হয়ে ড্রপবক্স বসাতে হয়েছে।” এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে, মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতির নেতৃত্বে, এদিন ফের খড়্গপুরের প্রায় হাজারখানেক বিজেপি নেতা-কর্মী তৃণমূলে যোগদান করেছে। সভাপতি সুজয় হাজরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সম্পাদক প্রদ্যোৎ ঘোষ, কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ প্রমুখ।

thebengalpost.net
তৃণমূলে যোগদান: