দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, মেদিনীপুর, ২০ জানুয়ারি: মিছিল, পিকেটিং, জমায়েত ও পথসভার মধ্য দিয়ে ১৬ দফা দাবিতে ডাকা ‘সর্বভারতীয় ধর্মঘট’ সফল করার কর্মসূচিতে সামিল হলেন জেলার প্রায় এক হাজার মেডিক্যাল এবং সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভসরা। কাজ বন্ধ রেখে জেলা শহর মেদিনীপুরের রাজপথে সকাল থেকে মিছিল এবং ধর্মঘটের দাবি নিয়ে প্রচার চলে। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে পিকেটিং এবং পথ সভা। জেলার খড়্গপুর ও ঘাটাল মহকুমা শহরেও হয় মিছিল ও পথসভা। ওষুধ শিল্প সহ তার ফিল্ড কর্মীদের প্রতি কেন্দ্র ও রাজ্য দুই সরকারের ভ্রান্ত পদক্ষেপ, কর্পোরেট স্বার্থ রক্ষার পদক্ষেপ, নতুন করে চালু করা চারটি শ্রমকোড বাতিল প্রভৃতির বিরুদ্ধে যেমন গর্জে উঠলেন এই ধরনের কর্মীরা। ঠিক তেমনই তাঁরা দাবি তুললেন, জীবনদায়ী ওষুধের লাগাম ছাড়া মূল্য বৃদ্ধি রদ করার জন্য। জীবনদায়ী ওষুধ সহ চিকিৎসা সরঞ্জামের উপর কেন জিএসটি (GST)? এই প্রশ্নও তুললেন! মদের দাম কমিয়ে জীবন দায়ী ওষুধেল দাম বাড়ানোর ঘটনাকে জানালেন ধিক্কার।
অপরদিকে, অনলাইনে ওষুধ বিক্রির মাধ্যমে একচেটিয়া কর্পোরেট বাজার দখল সহ দেশের সরকারী ও বেসরকারী ওষুধ শিল্পকে ধ্বংস করার মধ্য দিয়ে, লক্ষ লক্ষ মেডিক্যিল সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভস কর্মীকে কর্মহীন করে, রুটি রুজির সংকেটে পরিনত করার প্রতিকার চেয়ে এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। দাবি জানানো হয়, রাজ্য সরকারকে অবিলম্বে ন্যূনতম মাসিক বেতন ২৬ হাজার টাকা সহ আট ঘন্টা কাজের নীতি প্রনয়ন করতে হবে। মেদিনীপুর শহর জুড়ে মিছিল শেষে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে পথসভা। সেই সভা থেকে আগামী ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারী দু’দিনের সর্বভারতীয় ধর্মঘটের বিষয়গুলি তুলে ধরে, ‘দেশ বাঁচাও আন্দোলন’ এ সাধারণ মানুষকে সামিল হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।