দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, মেদিনীপুর, ১৪ জানুয়ারি: আজ পৌষ পার্বণ আর মকর সংক্রান্তির সাথে সাথেই ঘুড়ি ওড়ানোর উৎসবও। মেদিনীপুরবাসীও বরাবরই এই ক’টা দিন ঘুড়ি নিয়ে মেতে ওঠে। অতিমারীর কারণে সেই উৎসবের আবহে খানিক ভাটা পড়লেও, ঘুড়ি নিয়ে উৎসাহের অন্ত নেই অনেকেরই! তাদের প্রতি মেদিনীপুর পৌরসভার আবেদন, “ঘুড়ি ওড়ান, তবে চাইনিজ সুতো বা বিপজ্জনক কোনো সুতো ব্যবহার করে নয়। আপনার আনন্দ যেন অন্যের বিপদের কারণ না হয়ে ওঠে!” শুধু আবেদন-নিবেদন নয়, বৃহস্পতিবার সারা দিন ধরে মেদিনীপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে বিভিন্ন দোকানগুলিতে অভিযান চালানো। চাইনিজ সুতো বাজেয়াপ্ত করা হল এবং দোকানদারদের পরিষ্কার হুঁশিয়ারি দেওয়া হল। প্রাণঘাতী এই চাইনিজ সুতো বিক্রি করা যাবে না, বিক্রি করলেই আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এমনটাই স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন পৌরসভার আধিকারিকরা।

thebengalpost.net
দোকানদারদের হুঁশিয়ারি :

প্রসঙ্গত, আজ মকর সংক্রান্তি বা পৌষ পার্বণ। আর এই পৌষ পার্বণে পিঠে পুলি তৈরীর পাশাপাশি জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুরে ঘুড়ি ওড়ানোর প্রচলন চলে আসছে যুগযুগ ধরে, যা বড়াম পূজো নামে পরিচিত। তবে, বর্তমানে ঘুড়ি ওড়ানোর জন্য যথেচ্ছ ব্যবহার করা হচ্ছে চাইনা মাঞ্জা বা চাইনিজ সুতো’র। যা খুবই বিপদজ্জনক ও মারাত্মক। কারণ, এই নাইলন সুতো হাতে টানলেও ছেঁড়া যায় না! সুতায় লেগে যেমন বহু পশুপাখি যখম হয়, তেমনি এই চাইনিজ সুতোয় মানুষের মৃত্যুরও ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। বছরখানেক আগেই খড়্গপুরে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছিল গলায় চাইনিজ সুতো আটকে। শুধু পশ্চিম মেদিনীপুর নয়, গোটা রাজ্যে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে! তাই এই সুতার ব্যবহার বন্ধ করতে তৎপর হয়েছে পুর প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মেদিনীপুর পুরসভার আধিকারিকদের একটি দল শহরের ঘুড়ি সুতোর দোকানগুলিতে অভিযান চালিয়ে বিক্রেতাদের সতর্ক করে জানিয়েছেন, যাতে কোনো ভাবেই চাইনিজ সুতো বিক্রি করা না হয়! এক পৌর আধিকারিক জানান, “এদিন শুধুমাত্র সতর্ক করা হলো। যদি কোন দোকান থেকে চাইনিজ সুতো পাওয়া যায়, তা বাজেয়াপ্ত করে, ওই বিক্রেতার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে আগামী দিনে।”