দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ১৬ ডিসেম্বর: ইউনেস্কোর (UNESCO) তালিকায় স্থান পেয়েছে বাঙালির প্রধান উৎসব দুর্গাপুজো। ইউনেস্কোর ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি (Intangible Cultural Heritage of Humanity- First in Asia) হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে দুর্গাপুজোকে। ফ্রান্স, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, ব্রাজিল,বলিভিয়ার মতো বিশ্বের মাত্র ৬ দেশের উৎসব এখনও পর্যন্ত UNESCO-র স্বীকৃতি পেয়েছে। এবার সেই তালিকায় যোগ হল দুর্গাপুজো। বৃহস্পতিবার এনিয়েই আবেগাপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী কলকাতার ভোট প্রচারে গিয়ে মন্তব্য করলেন, “বাংলা বিশ্ব বাংলা, বিশ্বসেরা হয়ে গেছে। কেউ কেউ বলত, মমতা দুর্গাপুজো করতে দেয় না। আজ তাদের মুখে চুনকালি পড়েছে”! ইউনেস্কোর (UNESCO) প্রসঙ্গে টেনে এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার পুরভোটের (Kolkata Municipality Vote) প্রচারে বেহালায় সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখানেই তিনি একথা বলেন।
পাশাপাশি, এই প্রসঙ্গে নাম না করে বিজেপি-র বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃণমূলনেত্রী। শারদোৎসবকে অনুভবের অতীত ঐতিহ্য (ইনট্যানজিবল হেরিটেজ) স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য এ দিন দক্ষিণ কলকাতার বাঘাযতীনের সভা থেকে ইউনেস্কো-কে ধন্যবাদও জানান মমতা। এ দিন তিনি আরও বলেন, “২০১৬ থেকে চেষ্টা করছিলাম, পুজো কার্নিভাল চালু করেছি। কেউ কেউ বলত, মমতা দুর্গাপুজো করতে দেয় না। আজ তাদের মুখে চুনকালি পড়েছে। আজ বাংলার দুর্গাপুজো সারা বিশ্বে বন্দিত হয়েছে। আপনাদের একটা ভোট দিন, বাংলাকে বিশ্বসেরা করবই”। এদিন দুর্গাপুজো নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ‘অপপ্রচার’-এর জবাব দিয়ে তৃণমূলনেত্রী (Mamata Banerjee On DurgaPuja) বলেন, “কেউ কেউ বলেছিল মমতাজি তো দুর্গাপুজো করতে দেয় না। আজ ওঁদের মুখে চুনকালি! যারা বলত মমতা দিদি পুজো করতে দেয় না। তাদের মুখে চুনকালি। আজ আমার বাংলা UNESCO হেরিটেজ (Durga Puja UNESCO) ভূষিত হয়েছে। আগামীদিনে বাংলাকে বিশ্ব বাংলা করব। বাংলাকে আমি বিশ্ব সেরা করব। তার জন্যে যত দূর যেতে হয় যাব”। প্রসঙ্গত, ১৩-১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফ্রান্সের প্যারিসে আয়োজিত হচ্ছে ইন্টারগভর্নমেন্ট কমিটির ষষ্ঠদশ অধিবেশন। সেই অধিবেশনেই ‘কলকাতার দুর্গাপুজো’-কে ইউনেস্কো-র (Durga Puja UNESCO) ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি’-র তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে। ঘটনাচক্রে, স্বীকৃতি পাওয়ার খবর টুইট করে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি লিখেছেন, “প্রত্যেক ভারতীয়ের জন্য গর্ব ও আনন্দের বিষয়! দুর্গাপূজা আমাদের সাংস্কৃতিক ও আত্মিক বৈশিষ্ট্যর শ্রেষ্ঠ দিকগুলিকে তুলে ধরে। আর, কলকাতার দুর্গাপূজার অভিজ্ঞতা প্রত্যেকের থাকা উচিৎ।” ওদিকে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা জানানোর ভাষা নিয়ে তাঁকে আক্রমণ করেছে তৃণমূল। দলের টুইটার হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রীকে বাংলা শেখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে!