thebengalpost.net
বন্ধুর প্রতি বন্ধুর আবেদন :

তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৯ ডিসেম্বর: সহপাঠীরা আসছে না স্কুলে! একাধিকবার বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে আবেদন করলেও সাড়া মেলেনি সেইভাবে। তাই সহপাঠীদের স্কুলে ফেরাতে, এবার শিক্ষকদের সঙ্গে আসরে নামল পড়ুয়ারাও। পাড়ায় পাড়ায়, বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে, সহপাঠীদের হাতে হাতটি রেখে, কাতর আবেদন করল তারা, “চল বন্ধু স্কুলে যাই, স্কুলের বিকল্প যে কিছুই নাই”! হ্যাঁ, বৃহস্পতিবার কার্যত এমন দৃশ্যই দেখা গেল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা এলাকায়।

thebengalpost.net
বন্ধুর প্রতি বন্ধুর আবেদন :

প্রসঙ্গত, করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে রাজ্য সরকারের ঘোষণা মতো (১৬ নভেম্বর থেকে) নবম থেকে দ্বাদশের স্কুল খুলে গিয়েছে প্রায় এক মাস হতে চলল! তবে, উপস্থিতির হার প্রায় নগণ্য! শিক্ষক-শিক্ষিকারা বারবার গ্রামে গ্রামে, প্রতিটি বাড়ি পৌঁছেও পুরোপুরি সফল হতে পারেননি। প্রধান শিক্ষক বারবার অভিভাবক সভা করেও বোঝাতে পারেননি! বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেও স্কুলমুখী করতে পারেননি বেশিরভাগ পড়ুয়াদের। তাই, এবার অন্য পন্থা গ্রহণ করলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার টুকুরিয়া রামকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। স্কুলছুট পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করতে, ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে তাদের সহপাঠীদের একেবারে উঠোনে পৌঁছে গেলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। আরও একবার বোঝালেন শিক্ষকরা। আর, সহপাঠীদের হাতে হাত রেখে কাতর আবেদন করল তাদের বন্ধুরা। বৃহস্পতিবার ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে টুকুরিয়া রামকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা স্কুল খোলার আগেই সকাল সকাল এভাবেই স্কুলছুট পড়ুয়াদের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন। অভিনব এই উদ্যোগ কতখানি সফল হয়, তা হয়তো আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই বোঝা যাবে!

thebengalpost.net
পাড়ায় পাড়ায় পড়ুয়ারা :

thebengalpost.net
অভিনব এই উদ্যোগ কতখানি সফল হয়, তা হয়তো আগামী কয়েকদিনেই বোঝা যাবে :