দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, ১৯ নভেম্বর: “আপনাদের বোঝাতে পারিনি। সেই ব্যর্থতা আমাদের। এখন কাউকে দোষারোপ এর সময় নয়। ক্ষমা চাইছি সকল দেশবাসীর কাছে। আজ, গুরু নানকজী’র জন্মদিনের পবিত্র মুহূর্তে ঘোষণা করছি, তিনটি কৃষি আইন আমরা প্রত্যাহার করতে চলেছি। আসন্ন লোকসভা অধিবেশনে এই তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।” শুক্রবার, সকাল ৯ টায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে এভাবেই এক ঐতিহাসিক ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি দিল্লি ও হরিয়ানার সীমান্তে আন্দোলনকারী কৃষকদের উদ্দেশ্যে এও বার্তা দেন, “সকলে নিজের নিজের বাড়ি ফিরে যান। জমিতে যান। আসুন, আজ গুরু নানকের জন্মদিনে সকলে মিলে নতুন করে শুরু করি।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন নিয়ে দেশজুড়ে আন্দোলনের ঝড় উঠেছিল। গত বছরের (২০২০) সেপ্টেম্বরে তিনটি কৃষি বিলে সংশোধন করে আইনে পরিণত হওয়ার পর থেকেই দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্তানে বিরুদ্ধে তুমুল প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু হয়। বিশেষত, পঞ্জাবে সেই বিক্ষোভের আগুন তীব্র হতে থাকে। রাস্তা অবরোধ, রেল রোকো-আন্দোলনের মাধ্যমে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে নিজেদের প্রতিবাদ জানায় কৃষক সংগঠনগুলি। তাদের অভিযোগ, নতুন আইনের ফলে লোকসানের মুখে পড়বেন কৃষকেরা। তাই, অবশেষে পিছু হটলো কেন্দ্রীয় সরকার। তবে, গুরু নানকের জন্মদিবসে মোদীর এই ঘোষণা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। কারণ, কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লির উপকণ্ঠে অবস্থানকারী কৃষকদের বড় অংশই পঞ্জাব এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। তাঁদের শিখ এবং জাঠ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা অনেক। আগামী বছরের গোড়াতেই ওই পঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোট।