দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ নভেম্বর: বিবাদ সত্ত্বেও মেদিনীপুরের ঐতিহ্যমণ্ডিত মোটাকালীর পুজো চলছে সাড়ম্বরে। তবে, জমি বিবাদের কারণে পুজো এবার রাস্তায় নেমে এলো! আর, সে কারণেই, মন খারাপ পুজো উদ্যোক্তাদের। প্রসঙ্গত, পশ্চিম মেদিনীপুরের সুপ্রাচীন বারোয়ারি কালীপুজোগুলির মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় পুজো হল, মেদিনীপুর শহরের মানিকপুরের গোলঞ্চতলা মাঠের ২২ ফুটের মোটা কালী পুজো। দীর্ঘ ৫৩ বছর ধরেই এলাকার একটি মাঠে এই পুজো হতো৷ পুজো উপলক্ষে বসতো মেলাও। কিন্তু, এবার ওই জমির মালিক বেঁকে বসায় পূজো সরিয়ে নিয়ে আসতে হয়েছে রাস্তায়। বর্তমান পূজো উদ্যোক্তাদের কথায়, “এই কালীর পুজো শুরু করেছিলেন এলাকার কুস্তিগীররা। সেই সময় কুস্তিগীরদের চেহারা ও স্বাস্থ্যের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই তৈরী করা হয়েছিল কালী প্রতিমা। সেই প্রথা আজও অব্যাহত। বর্তমানে, কুস্তিগীরদের বংশধররাই এই পুজো পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। কিন্তু, সম্প্রতি পুজোর মাঠ নিয়ে সমস্যা শুরু হয়৷ মাঠের মালিক জানিয়ে দেন, তিনি আর সেখানে পুজো করতে দেবেন না!”
জানা যায়, আগে ঠিক হয়েছিল, বছরের মধ্যে ১১ মাস মাঠ ব্যবহার করবে মালিকপক্ষ। আর, কালীপুজোর সময় একমাসের জন্য স্থানীয় ক্লাবকে মাঠ ব্যবহার করতে দেওয়া হবে। কিন্তু, এখন আর সেই শর্ত মানতে রাজি নয় মালিকপক্ষ৷ বিষয়টি ইতিমধ্যেই আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে৷ ফলে, এবছর রাস্তার একপাশেই পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। ক্লাবের সদস্য প্রদীপ্ত দে বক্সি জানান, আদালতে মামলা ওঠার ফলেই কালীপুজোর জায়গা বদল করতে হয়েছে তাঁদের। তাতে কিছুটা হলেও মন খারাপ সকলের। তবে শেষ পর্যন্ত যে পুজো হচ্ছে, এটাই বড় কথা৷ এবার এই পুজোর ৫৪ তম বর্ষ৷ তবে গত বারের মতো এবারও কোভিড বিধি মেনেই পুজোর আয়োজন করা হয়েছে বলে দাবি উদ্যোক্তাদের৷ গত কয়েক বছরের মতো এবারও প্রতিমা নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছেন শিল্পী পিন্টু মিশ্র৷