দ্য বেঙ্গল পোস্ট বিশেষ প্রতিবেদন, ২৯ অক্টোবর: জল্পনার অবসান! ফেসবুকের (Fcaebook) নতুন নাম ঘোষণা দিলেন সিইও (CEO) মার্ক জুকারবার্গ (Mark Zuckerberg)। বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর), ফেসবুকের কানেক্ট ইভেন্টে মার্ক জুকারবার্গ ঘোষণা করেন যে, কোম্পানির নতুন নাম হবে ‘মেটা’ (Meta)। দ্য ভার্জ (The Verge) সূত্রে জানা গেছে, জুকারবার্গ এদিন বলেন যে, “আমরা এমন একটি কোম্পানি যা বিশ্ববাসীকে সংযুক্ত করার প্রযুক্তি তৈরি করে।” তিনি এও বলেন, “আমরা আমাদের প্রযুক্তির কেন্দ্রে মানুষকেই রাখব বলে ঠিক করেছি। আমরা সম্মিলিতভাবে অর্থনীতির একটা বৃহৎ জগৎ খুলে দিতে চাই।” প্রসঙ্গত, এই ‘মেটা’ শব্দটি যে ‘মেটাভার্স’ (Metaverse) থেকেই এসেছে, তা বলাই বাহুল্য। আর, এই মেটাভার্স হল- ভার্চুয়াল জগতের সর্বাধুনিক ও সর্বোচ্চ সংস্করণ! বলা হচ্ছে, মেটাভার্সই হবে ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ। প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, মেটাভার্সের কারণে ইন্টারনেটের ভার্চুয়াল জগতকে মনে হবে বাস্তব জগতের মতো, যেখানে মানুষের যোগাযোগ হবে বহুমাত্রিক! মেটাভার্স প্রযুক্তির মাধ্যমে আপনি কোন কিছু শুধু দেখতেই পাবেন না, তাতে নিজেকে জড়িয়ে ফেলতেও সক্ষম হবেন। ভার্চুয়াল জগতকে মনে হবে সত্যিকারের বাস্তব পৃথিবীর মতো!
প্রসঙ্গত, দ্য ভার্জ (The Verge)’ কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গত জুলাই মাসেই মার্ক জুকারবার্গ জানিয়েছিলেন যে, ফেসবুকের (Facebook) ভবিষ্যত সাফল্যের চাবিকাঠি মেটাভার্স (Metaverse) ধারণার মধ্যে নিহিত! মেটাভার্স ধারণাকে আরও একধাপ এগিয়ে দিতেই তাই মার্ক জুকারবার্গ (Mark Zuckerberg) এর নতুন নাম দিলেন “মেটা” (Meta)। কারণ, জুকারবার্গের মতে- “সামাজিক প্রযুক্তির অন্যতম সর্বোচ্চ স্তরই হল মেটাভার্স।” সংবাদসংস্থা বিবিসি (BBC)- এই মেটাভার্স ধারণা-কে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে, যে উদাহরণ দিয়েছে সেটি হল- “ধরা যাক ফেসবুকে আপনার একজন বন্ধু পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়ার অপূর্ব কিছু ছবি পোস্ট করেছেন। ফেসবুক দেখার সময় এই প্রযুক্তির কারণে মনে হবে আপনিও সেখানে উপস্থিত আছেন। আর যে প্রযুক্তির মাধ্যমে এসব ঘটবে তার নাম মেটাভার্স।” এ প্রসঙ্গে এও উল্লেখ্য যে, ফেসবুকের মূল কোম্পানি’র নাম বদলে গেলেও এর অধীনে থাকা ফেসবুক অ্যাপ, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইন্সটাগ্রামে নামের কোনো পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়েছেন জুকারবার্গ।
***পড়ুন : নতুন দিগন্তে ফেসবুক! ২৮ অক্টোবর থেকেই নতুন নামে Mark Zuckerberg এর কোম্পানি…