দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ২৭ অক্টোবর: ফের একবার রাজ্যে গুটখা ও তামাকজাত দ্রব্যের উৎপাদন, বিক্রি ও মজুত করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। আগামী ৭ নভেম্বর থেকে পরবর্তী এক বছর পর্যন্ত রাজ্যে গুটখা, পানমশালা ও তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রি ও উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের পক্ষ মঙ্গলবার এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, এই দ্রব্যগুলি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক, তাই এগুলি পুরোপুরি বন্ধ করা হচ্ছে আগামী একবছরের জন্য। তবে, সংশয় থেকেই যাচ্ছে, এই নির্দেশিকা কতটুকু কার্যকর করা হবে তা নিয়ে! কারণ, এর আগেও এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, তা সত্বেও পশ্চিমবঙ্গে রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে গুটখা, পানমশালা ও তামাকজাত দ্রব্য।

thebengalpost.net
গুটখা’র পিকে জর্জরিত মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নতুন লিফটের দেওয়ালও (ছবি- মণিরাজ ঘোষ) :

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, বিভিন্ন রাজ্যের মতো এরাজ্যেও পুরোপুরি বন্ধ হওয়া উচিত গুটখা ও তামাকজাত দ্রব্য। এর‌ ফলে, একদিকে যেমন কমবে ক্যানসারের মতো মারণ রোগের প্রাবল্য, অন্যদিকে রোগ-জীবাণু ছড়ানোও অনেক কমে যাবে! কারণ, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তর প্রদেশের মতো রাজ্য গুলিতে গুটখা, পানমশালা ও তামাকজাত দ্রব্য খেয়ে যত্রতত্র পিক ফেলার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। ছড়ায় রোগ-জীবাণু। শুধু তাই নয়, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল থেকে শুরু করে অফিস-আদালত সর্বত্র গুটখা আর পানের পিক দৃষ্টিদূষণ ও পরিবেশ দূষণেরও সৃষ্টি করছে! তাতে কি? হুঁশ নেই কারুরই। এবার, অতিমারীর আবহে সত্যিই যদি এই নির্দেশিকা কার্যকর করা হয়, তবে একদিকে যেমন মারণ রোগের ঝুঁকি কমবে, ঠিক তেমনই হাঁফ ছেড়ে বাঁচবে হাসপাতাল-অফিস-আদালতের দেওয়ালগুলিও, মনে করছেন সচেতন নাগরিকরা!

thebengalpost.net
কবে হুঁশ ফিরবে মানুষের? (ছবি- মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের লিফটের ভেতরের, তুলেছেন- মণিরাজ ঘোষ) :

thebengalpost.net
গুটখা, পানমশালা ও তামাকজাত দ্রব্য বন্ধের নির্দেশিকা :