দ্য বেঙ্গল পোস্ট বিশেষ প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৮ অক্টোবর: জলমগ্ন পিংলা ব্লকের প্রায় প্রতিটি গ্রাম! দুর্বিষহ অবস্থায় দিনযাপন করছেন এলাকাবাসী। চন্ডীয়া নদীর জল উপচে প্লাবিত হয়েছে এই ব্লকের পিণ্ডরুই, চকচন্ডী, গোবর্ধনপুর, জলচক সহ ১৪-১৫ টি একাধিক গ্রাম। অথচ, এই নদীর তীরেই পিণ্ডরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চকচন্ডী ও সামসরা গ্রামে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে দু’টি রিভার পাম্প হাউসের উদ্বোধন করা হয়েছিল ২০১৪ সালে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেই দু’টি রিভার পাম্প-ই বিগত ৪-৫ বছর ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে! গ্রামবাসীদের অভিযোগ, “হেলদোল নেই প্রশাসনের!” তাঁদের মতে, এই দুটি রিভার পাম্প থাকলে পিন্ডরুই গ্রাম পঞ্চায়েত ডুবে যাওয়ার হাত থেকে অনেকখানি বেঁচে যেত। কারণ, জমা জল এই রিভার পাম্পের মাধ্যমে বের করে দেওয়া যেত। ২০১৪’র পর প্রথম ২-৩ বছর নাকি এভাবে জল বের করা হয়েওছে! কিন্তু, এই বছরের প্রবল বন্যায় সেই রিভার পাম্প অকেজো হয়ে পড়ে থাকায়, প্রশাসনের উপর ক্ষোভ উগরে দিলেন পিণ্ডরুই গ্রাম পঞ্চায়েত বাসী। চকচন্ডী গ্রামের পলাশ রানা, সামসরা গ্রামের বিকাশ রাণা প্রমুখরা বললেন, “পঞ্চায়েত, প্রধান থেকে শুরু করে সব জায়গায় বারবার আবেদন করা হয়েছে। কারুর কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। রিভার পাম্প ঠিক থাকলে আমরা বেঁচে যেতাম!”
মাত্র ২ দিন আগেই স্থানীয় বিধায়ক অজিত মাইতি-কে নিয়ে চন্ডীয়া নদী তীরবর্তী পিণ্ডরুই সহ গ্রামগুলি পরিদর্শন করেন সাংসদ দেব ওরফে দীপক অধিকারী। কিন্তু, বিধায়ক বা সাংসদ হয়তো জানেনই না, সরকারি টাকায় তৈরি দু-দুটি রিভার পাম্প অকেজো হয়ে পড়ে আছে ৪-৫ বছর ধরে! তবে, পিণ্ডরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কৃষ্ণপ্রসাদ বেরা আশ্বস্ত করলেন, “গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগেই এই রিভার পাম্প দুটি তৈরি করা হয়েছিল। এটা ঠিক সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারিনি আমরা! তবে, অনেকবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সফল হইনি। এই বন্যা প্রমাণ করে দিল, রিভার পাম্পের যৌক্তিকতা কতখানি। আমরা পুনরায় উদ্যোগ নিচ্ছি, দ্রুত এই রিভার পাম্প দুটি চালু করার জন্য।”