দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩০ সেপ্টেম্বর: অবশেষে সুখবর শোনালো আবহাওয়া দপ্তর। বৃহস্পতিবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গ থেকে বিদায় নিয়েছে বর্ষা। মহালয়ার মধ্যেই পাকাপাকিভাবে বিদায় নিতে চলেছে বাংলা তথা সারা দেশ থেকেই! এমনটাই জানিয়েছে মৌসম ভবন। তবে, আগামী দু’তিন দিন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফে। এদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকেই সৈকত সুন্দরী দীঘার নীল আকাশে উচ্ছ্বসিত পর্যটকরা। এদিকে, এখনও জলমগ্ন পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর-পটাশপুর থেকে শুরু করে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল-দাসপুর-কেশপুর-সবং-পিংলার বিস্তীর্ণ এলাকা। আকাশে সাদা মেঘের ভেলা দেখা গেলেও, ভরা শরতেও এই সব এলাকায় যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম সেই ভেলা বা ডিঙিই! কাশের বন একগলা জলে ডুবে, তাই এখানে কবে ‘শরৎ’ আসবে তা নিয়তিই জানে!

thebengalpost.net
আবহাওয়া দপ্তরের বিজ্ঞপ্তি :

thebengalpost.net
দীঘার সৌন্দর্য (বৃহস্পতিবারের ছবি, ছবি- দীঘা ফেসবুক পেজ) :

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর এবার দক্ষিণবঙ্গে ১০০ শতাংশ বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টি’র কোনও ঘাটতি নেই! তবে, সেপ্টেম্বর মাসেই সর্বাধিক বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে দুর্যোগ এত বেশি। এদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে চলা অতিবৃষ্টিতে জেলার প্রায় ৮৭ হাজার বাড়ি ধূলিসাৎ হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। এখনও ত্রাণ শিবির এবং অস্থায়ী তাঁবুতে আছেন প্রায় লাখ খানেক মানুষ। ঘাটাল থেকে নারায়ণগড়, কেশপুর থেকে সবং, দাসপুর থেকে পিংলা জলমগ্ন। শীলাবতী থেকে কেলেঘাই এখনও ফুঁসছে! তবে, শুক্রবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে আর বৃষ্টি না হওয়ার খবরে কিছুটা স্বস্তিতে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে প্রশাসন।

thebengalpost.net
দীঘার সৈকত (ছবি- দীঘা ফেসবুক পেজ) :