দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৯ সেপ্টেম্বর: “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কংগ্রেস মুক্ত ভারত গঠনের ডাক দিয়েছিলেন, আর তা হয়েও যাচ্ছে! জাতীয় কংগ্রেসের এমনই দুরবস্থা যে তারা তাদের সাংসদ-বিধায়ক, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের ধরে রাখতে পারছে না। এই সুযোগে তৃণমূল কংগ্রেস বাতিল-দের তুলে এনে দল ভরাচ্ছে!” গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনো ফালেরিও বুধবার কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন। আর সেই প্রসঙ্গেই বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ মেদিনীপুরে দাঁড়িয়ে কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস ও তৃণমূল-কে। মেদিনীপুরে এক কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে, বৃহস্পতিবার হতে চলা ভবানীপুরের উপ-নির্বাচন নিয়েও রাজ্যের শাসকদলকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ। তিনি বলেন, “ভবানীপুরে বাধ্য হয়েই শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাবে তৃণমূল, নাহলে সারা দেশের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ পুড়বে!”
বুধবার তিনি মেদিনীপুরের কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে, মন্দিরে প্রণাম করে ফিরে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সাংবাদিকরা ভবানীপুরের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কিনা প্রশ্ন করলে, দিলীপবাবু বলেন, “আশা করি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনই হবে। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর নিজের এলাকা ভবানীপুর, আর সেখানে উপনির্বাচন হচ্ছে। কাজেই সারা দেশের নজর আছে ওইদিকে। তাই বাধ্য হয়েই তৃণমূল এখানে গণ্ডগোল করবেনা, সারা রাজ্যে যেভাবে করেছে!” তিনি এও বলেন, “দিদিমণি বারবার বলেছেন যে ওখানে তিনি বিপুল ভোটে জিতে আসবেন। কিন্তু, তারপরেও গুন্ডা, পুলিশ এবং কর্মীদের দিয়ে ভয় দেখাচ্ছেন, মারধর করছেন এলাকায় ও উত্তেজনা সৃষ্টি করছেন। এতেই বোঝা যায় যে তিনি হারতে চলেছেন।” গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী’র তৃণমূলে যোগদান ঘিরেও, দিলীপ বাবু ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করেন এদিন। এ নিয়ে অবশ্য দিলীপ ঘোষ-কে পাল্টা দিতে ছাড়েননি শাসকদলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা। তিনি বলেছেন, “যাদের দলের প্রাক্তন মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদ-রা ঝাঁকে ঝাঁকে বেরিয়ে এসে তৃণমূলে যোগদান করছেন, তাঁদের মুখে এইসব কথা! এমন হাস্যকর কথা ওনার মুখেই মানায়। আর ভবানীপুরে জননেত্রী যে লাখখানেক ভোটে জিতবেন, সেটা দিলীপ না বুঝতে পারলেও, মোদী-শাহরা ভালো করেই জানেন!”