দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৯ সেপ্টেম্বর: বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা অবধি ঝিরঝিরে বৃষ্টি হলেও, রাত বাড়তেই পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জুড়ে বৃষ্টির তাণ্ডব শুরু হয়েছে। বুধবার ভোররাতের এই বৃষ্টিতে দুঃশ্চিন্তার ভাঁজ আরও গভীর হয়েছে ইতিমধ্যে জলমগ্ন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং-ডেবরা-পিংলা থেকে শুরু করে কেশপুর-ঘাটাল-দাসপুর জুড়ে। উল্লেখ্য যে, বুধবার সারা দিন ধরেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে। জারি করা হয়েছে ‘লাল সতর্কতা’! মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুরে তাঁত মেলার উদ্বোধনে এসে রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী ডাঃ মানস রঞ্জন ভূঁইয়া দৃশ্যতই হতাশার সুরে বললেন, “১২ বছর পর এক ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হয়েছে সবং-পিংলা প্রভৃতি এলাকা! অন্তত ১০ জায়গায় বাঁধ ভেঙে গেছে। প্লাবিত গ্রামের পর গ্রাম। সত্যিই নিদারুণ এক পরিস্থিতি। এরপরেও দুর্যোগের পূর্বাভাস! কি যে হবে!” কেলেঘাই কপালেশ্বরী নিয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথাও বললেন ডাঃ ভূঁইয়া। আর, এর মধ্যেই ফের শুরু হয়েছে অতি ভারী বর্ষণ। সবং-পিংলা-কেশপুর-দাসপুর নতুন করে দুঃশ্চিন্তায় ফেললো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনকে!
প্রসঙ্গত, আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী বুধবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের লাল সতর্কতা (Red Alert) জারি করা হয়েছে- পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলায়। ভারী বৃষ্টিপাতের কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলায়। মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে- কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই চব্বিশ পরগণা এবং দুই বর্ধমান জেলায়। এই দু’দিন মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে। ঝড় ও বজ্রপাতের হাত থেকে বাঁচতে, সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে সতর্কভাবে বেরোনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে, মঙ্গলবার বিকেল থেকেই দফায় দফায় বৃষ্টিপাত হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতে। ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরে (আজ) রাত থেকে শুরু হয়েছে দুর্যোগ! সেই দুর্যোগেই আতঙ্কিত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার বানভাসিরা। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। শুক্রবার থেকে রৌদ্র করোজ্জ্বল আবহাওয়া থাকবে বলেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফে।