দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৪ সেপ্টেম্বর: “গরুকে খাওয়ানোর জন্যই রেশনের খাদ্য সামগ্রী কিনে নিয়ে যাচ্ছিলাম” বলে স্বীকার করল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কোতোয়ালী থানার অন্তর্গত বনপুরা গ্রামের শেখ সাবির হোসেন। প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে মেদিনীপুর শহরের অদূরে শিরোমনি এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে রেশনের খাদ্য সামগ্রী কিনে নিয়ে যাওয়ার পথে গ্রামবাসীদের আটকের মুখে পড়ে গাড়িটি! সন্দেহ হওয়ায়, গ্রামবাসীরা দেখেন, রেশনের খাদ্য সামগ্রী বোঝাই রয়েছে গাড়িতে। বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযুক্ত যুবক শেখ সাবির হোসেন স্বীকার করে, সে রেশনের খাদ্য সামগ্রী গরুকে খাওয়ানোর জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছিল। শুধু তাই নয়, এর আগেও একবার সে গ্রামের ওই ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে রেশনের খাদ্য সামগ্রী কিনে নিয়ে গেছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকার মানুষ।

thebengalpost.net
রেশনের সামগ্রী আটক :

উল্লেখ্য যে, রেশনের চাল-গম-আটা গরুকে খাওয়ানোর জন্য কিনে নিয়ে যাবার সময় গ্রামবাসীদের কাছে ধরা পড়ে যায় ওই অসাধু ব্যবসায়ী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কোতোয়ালী থানার অন্তর্গত শিরোমনি এলাকায়। স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ শিরোমনি গ্রামের ৩ জন ব্যবসায়ী শ্রীদাম মন্ডল, হেমন্ত মন্ডল ও অনন্ত মন্ডল তিন ভাই বিভিন্ন জায়গা থেকে রেশনে খাদ্যসামগ্রী কম দামে কিনে তা বেশি দামে বিক্রির কারবার দীর্ঘদিন ধরেই চালিয়ে যাচ্ছেন। বুধবারও একই রকম ভাবে রেশনের খাদ্য সামগ্রী বনপুরা এলাকার ওই সেখ সাবির হোসেন নামক ব্যক্তিকে বিক্রি করেছিলেন। বনপুরার ওই ক্রেতা সেই রেশন সামগ্রী নিয়ে যাওয়ার পথে, গ্রামবাসীদের সন্দেহ হলে গ্রামবাসীরা গাড়ি আটকে দেখেন গাড়ির মধ্যে সরকারি লেভেল লাগানো রেশনের খাদ্য সামগ্রী রয়েছে। এরপরে ওই ক্রেতাকে চেপে ধরলে সে জানায় ওই গ্রামের হেমন্ত, শ্রীদাম ও অনন্ত মন্ডল এর কাছ থেকে তিনি ওই রেশন সামগ্রী কিনে নিয়ে যাচ্ছিলেন গরুকে খাওয়ানোর জন্য। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামের অভিযুক্ত তিন ব্যবসায়ীর বাড়ির কাছে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়ে বাড়ীর ভেতর ঢুকে ভেতর থেকে তালা বন্ধ করে দেয় অভিযুক্ত ব্যবসায়ীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মেদিনীপুর সদর পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ গোপাল দে। তিনি জানান, গ্রামের ওই তিন ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরেই এই অসাধু কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা চাই ওই তিন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসন সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে।