দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৩ আগস্ট: গত ১৮ ই আগস্ট (বুধবার) পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ডেবরা থানার জালিমন্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের খামরা গ্রামের চন্দ্রকান্ত সিং। ৩০ বছরের ওই যুবক পেটে ব্যাথা ও বমি’র উপসর্গ নিয়ে গ্রামীণ হাসপাতালের ইমারজেন্সি ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিলেন বলে জানা গেছে হাসপাতাল সূত্রে। তার ঠিক পরের দিনই (বৃহস্পতিবার), রাত্রি সাড়ে এগারোটা নাগাদ ওই যুবক হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়! স্ত্রী’র সাথে ওই যুবকের কোনো বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় বলে জানা গেছে। এরপরই ওই যুবক মেন গেট দিয়ে বেরিয়ে যায়। তার পেছনে পেছনে ছুটে যান স্ত্রী ও হাসপাতালের গেটে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা। কিন্তু, কিছু দূর গিয়ে আর ওই যুবককে খুঁজে পাওয়া যায় না! এরপরই, ডেবরা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, গত ৩ দিন ওই যুবকের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি! রবিবার বিকেলে হাসপাতালের কাছাকাছি পাটনা মন্দিরের পেছনের ঝোপে ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পুলিশে খবর দেওয়া হলে তাঁরা দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যান।
প্রসঙ্গত, আগস্ট মাসের ৮ তারিখে ডেবরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক যুবকের মা তিনতলার জানালা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন! ওই মহিলা অবসাদে ভুগছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। মাত্র দু’সপ্তাহের মধ্যেই ফের রোগী নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় ডেবরা হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে! হাসপাতালের সুপার তথা বিএমওএইচ ডাঃ আরিফ জানিয়েছেন, “ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী’র কোন বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয় বলে জানতে পেরেছি। যুবক যখন বেরিয়ে যায়, সঙ্গে সঙ্গেই নিরাপত্তারক্ষীরা ছুটে যায়, কিন্তু খুঁজে পাওয়া যায়নি। নিয়মমাফিক আমরা থানায় ডায়েরি করি। এরপর, রবিবার শুনি এই কান্ড! এই ঘটনার সাথে হাসপাতালের গাফিলতির কোনো সংযোগ নেই। তবে, আমরা আরও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা’র বিষয়ে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করছি।” এদিকে, রবিবার ওই যুবকের পরিবার চন্দ্রকান্তের দেহ শনাক্ত করেন! সোমবার ময়নাতদন্তের জন্য দেহ খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যা বলে মনে করা হলেও, ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।